মো: আব্দুল জব্বার জলিল, জন্ম ১৯৬১ সালের ১লা জানুয়ারী, পিতা: মরহুম হাজী আইন উল্যা এবং মাতা: মরহুমা সায়রা খাতুন। পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র । বড় দুই ভাইয়ের মধ্যে জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা জনাব আব্দুল করিম বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন এবং মধ্যম ভ্রাতা মরহুম খলিলুর রহমান ছিলেন ৭ নং জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান।

শিক্ষা যাত্রা :
বৈরাগীবাজারস্থ সুনামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাইমারী শিক্ষা সমাপন করে আমি মাধ্যমিকে ভর্তি হই জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৭৬ সালে এস.এস.সি পাশ করে এম.সি কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করি ১৯৭৮ সালে।

সামাজিক দায়বদ্ধতার শুরু :
১৯৮৫ সালে আমার নিজ গ্রামের বৈরাগীবাজার প্রাথমিক স্কুলকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রুপান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমার সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম শুরু হয়। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, একমাত্র শিক্ষক হিসাবে আমি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করি। বাড়ি বাড়ি হেঁেট মাত্র ৩০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করি। প্রতি বছর শেষে ছাত্র-ছাত্রি বাড়তো আর একেকটি নতুন ক্লাস যুক্ত হত। আমার সক্রিয় প্রচেষ্ঠার কারণে শীঘ্রই এলাকার অভিভাবক বৃন্দ তাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদেরকে পাঠানো শুরু করলেন এবং আস্তে আস্তে প্রস্ফুটিত হতে থাকলো এলাকার মাধ্যমিকের শিক্ষার হার।

ব্যবসায়িক প্রচেষ্টার শুরু :
যাত্রিক ট্রেভেলস্ : ১৯৮৬ সালের মধ্যভাগে, যাত্রিক ট্রেভেলস্ এর মাধ্যমে আমার ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু। সুদীর্ঘ কাল থেকে যেসব ট্র্যাভেলস্ ব্যবসায়িরা প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তাদের মধ্যে যাত্রিক ট্র্যাভেলস্ অন্যতম। কখনই পেছনে না থাকিয়ে ট্র্যাভেলস্ ব্যবসাকে মানব সেবার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা শুরু করি, তা আজও বর্তমান। যাত্রিক ট্রেভেলস্ ১৯৯৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন (ওঅঞঅ) সনদ, ২০০১সালে পবিত্র হজ্ব লাইসেন্স এবং ২০০৪ সালে সিলেট অঞ্চলের প্রথম ওমরাহ হজ্ব লাইসেন্স লাভ করি। পবিত্র হজ্ব ও ওমরাহ লাইসেন্স প্রাপ্তীর পর থেকে যাত্রিক ট্রেভেলস্ এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫,০০০(পনের হাজার) মানুষ ওমরাহ এবং প্রায় ১২,০০০(বারো হাজার) হাজী পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেছেন।২০১৫ সালে সৌদি সরকার বিভিন্ন অনিয়মের কারনে বাংলাদেশের ওমরাহ হজ্ব কার্যক্রম বন্দ করে দেয়। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সকল ওমরাহ লাইসেন্সের মধ্যে ১২ টি লাইসেন্স স্বচ্ছ হিসাবে নির্দোষ প্রমানীত হয় তার মধ্যে যাত্রীক ট্রেভেলস্ অন্যতম।

আনন্দ ট্যুরিজম : আনন্দ ট্যুরিজম যাত্রিক ট্রেভেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি সিলেট সহ সারা দেশে এবং দেশের বাইরে একক/পারিবারিক/গোষ্ঠিবদ্ধ যে কোন ট্যুরিজমের জন্য আনন্দ ট্যুরিজমের রয়েছে একটি দক্ষ অপারেটর টিম। এর বাইরেও ট্রেভেলস্ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার সমাধানে, সিলেট অঞ্চলে যাত্রিক ট্র্যাভেলসের পাশাপাশি আনন্দ ট্যুরিজমের রয়েছে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মী-বাহিনী।

আনন্দ রেষ্টুরেন্ট : ১৯৯২ সালে ঢাকার পান্থপথে শুরু করি আনন্দ রেষ্টুরেন্ট নামে একটি উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট। তৎকালীন সময় ঢাকায় যে সকল সিলেটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তার মধ্যে আনন্দ রেষ্টুরেন্ট ছিল অন্যতম।

আনন্দ টাওয়ার : সিলেটে যে সমস্ত সু-উচ্চ বাণিজ্যিক কাম আবাসিক ভবন রয়েছে, উত্তর জেলরোডস্থ ”আনন্দ টাওয়ার” তাদের মধ্যে অন্যতম। ২৫ শতাংশ জায়গার উপরে ২০০২ সালে নির্মিত ১২ তলা ভবনটি, সিলেটের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের এক অনিন্দ্য-সুন্দর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন এই সুউচ্চ ভবনে তাদের এতদ-অঞ্চলীয় কার্য্যালয় চালু করেছে, তেমনিভাবে স্থানীয় অনেক সফল ব্যবসায়ীরাও খুঁজে পেয়েছেন তাদের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। শুধু কি দেশীয় প্রতিষ্ঠান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও খুঁজে পেয়েছেন তাদের ব্যবসার নির্ভরযোগ্য একটি পরিবেশ। এই ভবনে যেমন রয়েছে, ইনভেস্টম্যান্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আই,সি,বি), চট্টগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জ (সি.এস.ই) সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়, জনতা ব্যাংক লিঃ, নভো এয়ার, দেশ টেকনোলজি, গ্রামীন ফোন অথরাইজ্ড ডিলার, তেমনি রয়েছে মার্কিন দুতাবাসের সিলেট অঞ্চলিয় ভিসা সেন্টার, কাতার এয়ারওয়েজ এর মতো আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। এই ভবনে আরও রয়েছে হজ্জ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার এন্ড কমার্স, সিএসই অর্ন্তভুক্ত ট্রেক হোল্ডার, সিলেটের নামী-দামী ট্রাভেল এজেন্সি, ফ্লোরা টেলিকম লিঃ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের এডমিশন সেন্টার, বলাকা আবাসিক প্রকল্প সহ অর্ধ-শতাধিক নামী-দামী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এখানকার ব্যবসায়িরা বছরের পর বছর ধরে অত্যন্ত মানসিক প্রশান্তির সাথে এই ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।

প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিচালিত কার্যক্রম সমুহের বিবরণী :

আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টঃ
১৯৮২ ইং হইতে সিলেট জেলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ কল্যাণ ও জনহিতকর কার্যে আমি সম্পৃক্ত হই। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে একই উদ্দেশ্য নিয়ে “আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্ট্র” গঠন করি।যার রেজিঃ নং হচ্ছে- ক্রমিক নং-১১৯৪১-১ভি-৮৩/১৩ইং। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা হলেনঃ আব্দুল জব্বার জলিল-সভাপতি, মুকিতুর রহমান জায়গিরদার- সহ-সভাপতি, মো: ইসমাইল রনি-সেক্রেটারী, মো:ইব্রাহিম সানি-ট্রাস্টি সদস্য,শামীম আরা বেগম-ট্রাস্ট্রি সদস্য, ডা.আছমা বেগম লিজা-ট্রাস্ট্রি সদস্য, আয়েশা নাসরিন জ্যোতি-ট্রাস্টি সদস্য, মাইশা নাসরিন তিথি-ট্রাস্টি সদস্য, ফখরুল ইসলাম শাইস্থা- ট্রাস্ট্রি সদস্য।

শিক্ষার মানউন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনায় দেওয়া আর্থিক অনুদান :

১. স্কুল এবং কলেজ : প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর জীবনমান উন্নয়নে একমাত্র শিক্ষাই যে একটি আলোকিত সমাজ গঠনের প্রধান হাতিয়ার, এই দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আজন্ম-লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য এবং শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য আব্দুল জব্বার জলিল কাজ করছেন তাঁর নিজের এলাকা সহ আশেপাশের অনেক এলাকাতে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩৫ বছর ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহযোগিতা করা হয়। নীচে এরকমই কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হলো :

 বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য এবং “আব্দুল জব্বার জলিল ভবন” এর দাতা। অনুদান -১২,৮০,০০০/=(বারো লক্ষ আশি হাজার) টাকা।
 বৈরাগী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়াল নির্মান বাবদ অনুদান ২,০০,০০০/=(দুই লক্ষ) টাকা ।
 জালালপুর কলেজের আজীবন দাতা সদস্যএবং“আব্দুল জব্বার জলিল ভবন”র দাতা।অনুদান-১৫,০০,০০০/=(পনের লক্ষ) টাকা।
 দক্ষিণ সুরমা কলেজের আজীবন দাতা সদস্য এবং “ আব্দুল জব্বার জলিল অডিটোরিয়াম” দাতা। অনুদান-৩০,০০,০০০/=(ত্রিশ লক্ষ) টাকা।
 সিলেট বাগবাড়িস্থ ইনক্লুসিভ স্কুল এন্ড কলেজে অনুদান-২,০০,০০০/=(দুই লক্ষ) টাকা।
 লালাবাজারস্থ বিবিধইল গার্লস স্কুলে এককালীন অনুদান-২,০০,০০০/=(দুই লক্ষ) টাকা।
 রুস্তুমপুর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় এ স্কুলের উন্নয়ন কাজে আর্থিক অনুদান-২,০০,০০০/=(দুই লক্ষ টাকা)।
 জালালপুর হাই স্কুলে অবকাঠামোগত নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অনুদান এবং “আব্দুল জব্বার জলিল ভবন”দাতা। অনুদান-১৫,০০,০০০/=(পনের লক্ষ) টাকা।
 মোগলাবাজার রেবতী-রেমন হাই স্কুলের সকল বৈদ্যুতিক পাখা ক্রয় বাবদ অনুদান প্রদান ৪০,০০০/=(চল্লিশ হাজার) টাকা ।
 কিশোরী মোহন সরকারী (বালক) প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলেট এ আর্থিক অনুদান-৬০,৭০০/=(ষাট হাজার সাতশত) টাকা।
 সোনারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবগঞ্জ, সিলেট এ আর্থিক অনুদান-৩০,০০০/=(ত্রিশ হাজার) টাকা।

২. মসজিদ এবং মাদ্রাসা : স্কুল এবং কলেজের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মসজিদ এবং মাদ্রাসাতেও আর্থিক অনুদান সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহযোগিতা করা হয়। তন্মধ্যে কিছু নাম নীচে দেওয়া হলো : 

 মোগলাবাজার থানাধীন জালালপুর ইউনিয়নে সায়রা খাতুন হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার সর্বোচ্চ দাতা সদস্য এবং সার্বিক পরিচালনাকারী।অনুদান-২১,০০,০০০/=(একুশ লক্ষ টাকা)।
 মোগলাবাজারস্থ সুনামপুর জামে মসজিদে অনুদান-১৮,০০,০০০/=(আটারো লক্ষ) টাকা।
 জালালপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় উল্লেখযোগ্য আর্থিক অনুদান-৫,০০,০০০/=।
 হাজীগঞ্জ, সিলাম বাজার মসজিদের নির্মান কাজে ০১(এক) লক্ষ টাকা অনুদান।
 এর বাইরেও আরো অন্তত ৫০টি মসজিদ এবং মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

৩. অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগীতা : স্কুল, কলেজ, মসজিদ এবং মাদ্রাসা ছাড়াও আরো কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতা করেছি।এরকম কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম নীচে উল্লেখ করা হলো :

 মোগলাবাজার, জালালপুরের সেনগ্রাম পূজা মন্ডপে উন্নয়নমুলক কাজের জন্য অনুদান-১,০০,০০০/=(এক লক্ষ) টাকা।
 দক্ষিণ সুরমাস্থ শিববাড়ি পূজা মন্ডপে গভীর নলকুপ স্থাপনের আর্থিক অনুদান-৫০,০০০/=(পঞ্চাশ হাজার) টাকা।
 আসামপুর, জালালপুর, মোগলাবাজারে পূজা মন্ডপে উন্নয়ন কার্যে আর্থিক অনুদান -১,০০,০০০/=(এক লক্ষ) টাকা।

সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকর ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিপুর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতা :

আমরা যখন আমাদের চারপাশে সহযোগীতার দৃষ্টিতে অসহায় জনগোষ্ঠির দিকে তাকাই, মনের ভেতরে অনেক কিছু করার তাগিদ হয়তো অনুভব করি, কিন্তু সাধ আর সাধ্যের ফারাকের বিবেচনায় অনেক সময় তা সম্ভবপর হয়ে উঠেনা। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করার চেষ্টা করি। এরকমই কিছু নীচে উল্লেখ করা হলো :

প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর জীবনমান উন্নয়নে মাথা গোজাঁর ঠাই গৃহ নির্মাণ ও ঢেউটিন বিতরণ :

উপরেল্লিখিত চিন্তা ভাবনার আলোকে সিলাম, মোগলাবাজার এবং জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েকটি গ্রামে “২ বেডরুম+ ১রান্নাঘর” প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে এবং তাহা অব্যাহত রয়েছে।এবং এবং উল্লেখিত এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়।

প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে আর্থিক সহযোগীতা : 

একজন কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার মনোবেদনা ভুক্তভোগী ছাড়া সহজে কেউ অনুধাবন করতে পারে না। সিলাম, মোগলাবাজার এবং জালালপুর এলাকার অনেক অসহায় পিতাকে তাদের মেয়েদের বিবাহ প্রদানে আর্থিক সহযোগীতা করি।

গরীব ও অসহায় মানুষকে সাবলম্বী ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইঞ্জিন চালিত রিক্সা ও সিএনজি প্রদান :

সরকারী শিশু পরিবার (বালক ও বালিকা) ও এতিমখানায় দেওয়া আর্থিক অনুদান ও ঈদবস্ত্র বিতরণ:- সরকারী ব্যবস্থাপনায় সিলেটে যে সকল এতিমখানা রয়েছে তারমধ্যে বাগবাড়ি শিশু পরিবার ও রায়নগরস্থ সরকারী বালিকা শিশু পরিবার তাদের মধ্যে অন্যতম। এপ্রিল, ২০১৮ সালে রায়নগর সরকারী বালিকা শিশু পরিবারের নিবাসী বিপাশা আক্তার মুন্নী বেগমের বিয়েতে ৫০,০০০/=(পঞ্চাশ হাজার) টাকা আর্থিক অনুদান ও সরকারী শিশু পরিবার বালিকার সাবেক ছাত্রী আখিঁ বেগমকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। এবং আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে রায়নগর সরকারী বালিকা শিশু পরিবারে সরকারী শিশু পরিবার বালক ও বালিকাদের মাঝে প্রায় ৪০০পিছ নতুন ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়। ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব ড. এ কে আব্দুল মোমেন এম, পি মহোদয়। এছাড়াও জামিয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া এতিমখানায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

শিবগঞ্জ ভবঘুরে পুর্নবাসন কেন্দ্র :

শিবগঞ্জে অবস্থিত সিলেটের একমাত্র ভবঘুরে পুর্নবাসন কেন্দ্রে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি ৫০” এলইডি টিভি অনুদান হিসাবে প্রদান। যার মূল্য ৫৭,০০০/=(সাতান্ন হাজার) টাকা।

অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্টীর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ব্যয় নির্বাহ :

আজকে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে খুব সহজেই, পে ইট ফরোয়ার্ড বাংলাদেশ,অনেষ্ট, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন অথবা চন্দ্রনাথ ফাউন্ডেশনের দ্বারা দেশের অনাচে-কানাচে গরীব অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রিদের শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের খবর দেখি। বিচ্ছিন্ন ভাবে সিলেটেও অনেকে করেন, যার মধ্যে “আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্ট” সাংগঠনিক উপায়ে এদের সহযোগীতা করে আসছে। স্কুলের ফি, পরীক্ষার ফি ছাড়াও প্রতি বছর ৫ জন অসহায়-মেধাবী স্কুল-কলেজ-নার্সিং ইন্সটিটিউট এর শিক্ষার্থীর সারা বছরের শিক্ষা উপকরণের ব্যয় ভার বহন করা হচ্ছে বিগত কয়েকবছর ধরে।

প্রান্তীক পর্যায়ের মানুষের যাতায়াত সুবিধা প্রদান করে জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ :

১৯৯০-৯১ সালে মোগলাবাজার ইউনিয়নস্থ নেগাল, রাঘবপুর এবং গাংচর ও জালালপুর ইউনিয়নে ২৩ টি কালভার্ট এবং ছোট ব্রিজ নির্মাণ করা হয় যার ফলে অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত বাবদ সুবিধা উপভোগ করছেন।

প্রান্তীক ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ :

প্রাকৃতিক ভাবেই সিলেট অঞ্চলে শীতের প্রকোপ একটু বেশী।প্রান্তীক ও অসহায়-দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য ঐ সময়টা খুবই কষ্টদায়ক। শীতের তীব্র প্রকোপে প্রতি বছরই অনেকে রোগ-শোকে ভোগে এবং দীর্ঘকালীন যন্ত্রণার দ্বারা দিনাতিপাত করে। এহেন উদ্ভুত সমস্যায় আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতি বছর সিলেট শহর এবং শহরতলীর প্রান্তীক ও অসহায়-দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

প্রান্তিক ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ-পূজোয় নতুন বস্ত্র, আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ :

প্রতি বছর ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং দুর্গা পুজার সময়ে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে এতিমখানা ছাড়াও আমার নিজ এলাকায় ঈদ ও পূজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নতুন বস্ত্র প্রদান করা হয়।১৯৮২ সাল হইতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর, মোগলাবাজার ও সিলাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তীক অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ-উল-আযহা,ঈদ-উল-ফিতর ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা ও চৈত্র সংক্রান্তীর সময় প্রায় ৪৬,৬০,০০০/=(ছয়চাল্লিশ লক্ষ ষাট হাজার) টাকার নতুন বস্ত্র,খাদ্রসামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।


প্রান্তীক ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে টিউবওয়েল স্থাপন বাবদ আর্থিক অনুদানঃ- সিলেট শহর ও আশপাশ এলাকার কয়েকজনকে টিউবওয়েল স্থাপন বাবদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রান্তিক ও অসহায় দরিদ্র মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মাননা ও গৃহনির্মাণ :

১৯৮২সালে জালালপুর ইউনয়িনে জালালপুর উচ্চ বদ্যিালয় এ বীর মুক্তযিোদ্ধা ও বরৈাগীবাজার উচ্চ বদ্যিালয় এর প্রধান শক্ষিক, সলিটে জলোর গণতান্ত্রিক পার্টির  সভাপতি বাবু সুবল চন্দ্র পালরে সভাপত্বতে অসহায় দুস্থ ৪৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেষ্ট ও ৩০জন মুক্তিযোদ্ধাকে নগদ ৯০,০০০/=(নব্বই হাজার) টাকা নগদ র্আথকি অনুদান প্রদান করা হয় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক মিয়া, সাং নকিবড়চক, জালালপুর, মোগলাবাজার, দক্ষিণসুরমা, সিলেট, আব্দুল মালিক গেদাই, পিতা: মৃত আব্দুল গফুর, সাং- কাদিপুর, জালালপুর, মোগলাবাজার, দক্ষিণসুরমা, সিলেটকে গৃহ নির্মান করে দেওয়া হয়।

প্রান্তিক ও অসহায় দরিদ্র শারীরিক ও মানষীক প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গৃহনির্মান ও আর্থিক অনুদান :

সমাজের প্রান্তীক, অসহায় দরিদ্র শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গৃহনির্মান, আর্থিক অনুদান ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য চাকুরীর দেওয়া হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী মো: নজরুল ইসলাম, ৮৩-হোসনাবাদ, শাহীঈদগাহ কে যাত্রিক ট্রেভেলসে চাকুরী ও তার পরিবারকে নগদ ১৫-০৬-২০১৭ ও ০৬-০৫-২০১৯ দুই দফায় মোট ৮০,০০০/=(আশি হাজার) টাকা , শারীরিক প্রতিবন্ধী মো: সুমন মিয়া, পিতা: জহির আলী, সাং-সুনামপুর, জালালপুর, মোগলাবাজার, সিলেট, হিরন মিয়া, সাং মুকামদোয়ার, জালালপুর, মোগলবাজার, সিলেট, মো:আলম মিয়া, পিতাঃ-মৃত নিজাম উদ্দিন, সাং-উলালমহল, খালোমুখ, মোগলাবাজার, দক্ষিণ সুরমা, সিলেটকে গৃহ নির্মান ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর মাঝে ফ্রী চিকিৎসা সেবা প্রদান :

১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিলেট শহরের প্রতিটি মাধ্যমিক স্কুলে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বার প্রান্তীক,অনগ্রসর ও দরিদ্রা ছাত্র/ছাত্রীদের চক্ষু পরীক্ষা করে সমস্যাগ্রস্থ ছাত্র/ছাত্রীদের ফ্রী চিকিৎসা করা হয় । এছাড়াও জালালপুর ইউননের বৈরাগীবাজারে ডা. হারুরুর রশীদ এম,বি,বি এস দ্বারা দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ফ্রী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।ডাক্তারের সম্মানী ও চিকিৎসা বাবত খরছ হয় ৭,৬০,০০০/=(সাত লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।

সামাজিক দায়িত্বপালন ও অর্জন :
 

আমি আমার এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক গুলো সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ পদে আসীন হই এবং সফলতার সাথে শুধু যে দায়িত্বকাল অতিক্রম করেছি তা নয়, বরঞ্চ দায়িত্বকালের পরেও ঐসব প্রতিষ্ঠানের সুখে-দুঃখে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি । এরকমই কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম নিস্নে দেয়া হল :

 সিলেট মোহামেডান ক্লাব : সাধারণ সম্পাদক (১৯৯৭-২০০৯)।
 সিলেট ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন : নির্বাহী সদস্য (২০১০-২০১৪)।
 সিলেট মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি : প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি।
 রোটারী ক্লাব অব সিলেট সুরমা : সাবেক সভাপতি।
 সিলেট সুরমা অন্ধকল্যাণ সমিতি : সাবেক সভাপতি।
 মুসলিম সাহিত্য সংসদ : আজীবন সদস্য।
 সিলেট এ্যাপার্টম্যান্ট এন্ড রিয়েল এস্টে গ্রুপ(সারেগ) : সাবেক কোষাধ্যক্ষ।
 জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতাল : বিগত ১৫ বছর ধরে জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালের কার্যকরি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বপালন করে আসছি। হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ বাবত ১০,০০০,০০/=(দশ লক্ষ) টাকা অনুদান এবং প্রতি বছর  গরীব রোগীদের ফান্ডে ফ্রি চিকিৎসা বাবদ আর্থিক অনুদান হিসাবে ৫০,০০০/=(পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে সর্বমোট ১৩,২৫,০০০/=(তেরো লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা প্রদান করি। 
 হজ্জ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ : সাবেক সেক্রেটারী।
 আটাব গনতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের : সভাপতি
 আটাব : ২ বার কেন্দ্রীয় সফল যুগ্ন মহাসচিব, ৩ বার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং ১ বার সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

করোনা সংকটকালে চিকিৎসাকর্মী সহ প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমুহ :

বিশ্বব্যাপি মরণব্যাধি কভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের করাল ছোবল যখন কাউকেই ছাড় দিচ্ছেনা, সকল দেশের সরকারই লকডাউনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের প্রানান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে, আমরাও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। এরকম পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়ে যায় দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক, অনগ্রর ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর লোকজন। তখন আমি আমার আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে এই সময়ের উল্লেখেেযাগ্য অবদান। নীচে তারই কিছু উদাহরণ :

 পারসোনাল প্রটেক্টিভ উপকরণ (পিপিই) :
ক্স বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রমনের পর করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার ও সেবা কর্মীরা চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছিলো তখন স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিতদের জন্য বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও সংবাদ কর্মীদের মাঝে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে উন্নতমানের ৪৫০ পিছ পারসোনাল প্রটেক্টিভ উপকরণ (পিপিই) প্রদান করা হয়।

 জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান :
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেটে যখন লকডাউন ঘোষনা করা হয় তখন শ্রমহীন কর্মজীবি অসহায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য নিজস্ব পরিবহন দিয়ে চাল, ডাল, আলু, তৈল, লবন, মিষ্টি কুমড়া, আঠা, ওরাল স্যালাইন, সাবান, খেজুর, সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়ে একটি প্যাকেট করে সিলাম, মোগলাবাজার,জালালপুর ইউনিয়ন, সিলেটের মাননীয় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ১০০ পরিবারকে, সিলেট কতোয়ালী থানার এসিসটেন্ট কমিশনারের মাধ্যমে সিলেটের করের পাড়ায় ৮০ পরবিারক, দক্ষিন সুরমা উপজলোর নর্বিাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দক্ষিণ সুরমা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ১২৬ পরিবারকে এবং মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ৫০ পরিবারসহ প্রায় ৬৫০০ পরিবারকে জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

 কল সেন্টারের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান :
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেটে যখন লকডাউন ঘোষনা করা হয় তখন শ্রমহীন কর্মজীবি মানুষ দিশেহারা তখন সরকারের পাশাপাশী ব্যাক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সহায়তা করতে অনেকে এগিয়ে আসে। তখন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া দিনমজুররা পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সহায়তা পায়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা না পারছিলো কারো কাছে হাত পাততে, না পারছিলো লাইনে দাড়িঁয়ে খাদ্য সংগ্রহ করতে। ঠিক তখনই তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে কল সেন্টারের মাধ্যমে তাদেরকে আমাদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রহিতার পরিচয় গোপন রেখে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এই কার্যক্রম ২৫ মার্চ ২০২০ হইতে ৩০জুন ২০২০ পর্যন্ত চলে ।

 জরুরী ফ্রী অক্সিজেন সার্ভিস :
- করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা অপ্রতুল অক্সিজেন সরবরাহের কারনে শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন তখন নির্দিষ্ট হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোন জায়গায়ই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছিলো না, অক্সিজেনে অভাবে যখন রোগীরা অসহায়ের মত মৃত্যু বরণ করছিল তখন কোভিড ও নন-কোভিড শ্বাসকষ্টের রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ অপ্রতুলতার কথা চিন্তা করে, আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে দুই জন অভিজ্ঞ ডাক্তার ও চারজন টেকনিশিয়ান দিয়ে দিবারাত্রী ২৪ ঘন্টা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিজস্ব পরিবহণ দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি অক্সিজেনের প্রয়োজন সিলেট শহর ও আশপাশ এলাকার এমন রোগীদের বাসায় বাসায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় যা এখনও চলমান রয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত থাকবে।
- অসহায় রোগীদের হাসপাতাল বিল, চিকিৎসা কাজে আর্থিক অনুদান সহ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজনের জন্য মোবাইল মেসেজের ভিত্তিতে ঔষধ সরবরাহ প্রক্রিয়া এখনও চলমান।
- এই সময়ে যারা বেকার হয়ে গিয়েছেন এরকম প্রচুর পরিবারকে সেলাই মেশিন দিয়ে আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়।

পরিবার :

১৯৮৫ সালে আমি শামীম আরা বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই, এবং আমাদের ২ ছেলে এবং ৩ মেয়ে। বড় ছেলে ইসমাইল রণি, চার্টার্ড একাউন্টেন্সি শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী। ২য় ছেলে ইবরাহিম সানি, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লন্ডনের ব্রোনেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সম্পূর্ণ করে স্কলারশিপ নিয়ে একই বিষয়ে কানাডার টরেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স পাস করে বর্তমানে কানাডায় একটি কম্পোনীতে কর্মরত আছে।। বড় মেয়ে, আসমা বেগম লিজা জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হতে এম.বি.বি.এস পাশ করে ৫ বছর লেকচারার হিসাবে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। ২য় মেয়ে আয়েশা নাসরিন জ্যোতি লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে সিএসই অনার্স শেষ করেছে। এবং কনিষ্ট কন্যা মাইশা নাসরিন তিথি সিলেট গ্রামার স্কুলে এ-লেভেলে অধ্যয়নরত।