বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেটে যখন লকডাউন ঘোষনা করা হয় তখন শ্রমহীন কর্মজীবি অসহায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য নিজস্ব পরিবহন দিয়ে চাল, ডাল, আলু, তৈল, লবন, মিষ্টি কুমড়া, আঠা, ওরাল স্যালাইন, সাবান, খেজুর, সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়ে একটি প্যাকেট করে সিলাম, মোগলাবাজার,জালালপুর ইউনিয়ন, সিলেটের মাননীয় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ১০০ পরিবারকে, সিলেট কতোয়ালী থানার এসিসটেন্ট কমিশনারের মাধ্যমে সিলেটের করের পাড়ায় ৮০ পরবিারক, দক্ষিন সুরমা উপজলোর নর্বিাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দক্ষিণ সুরমা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ১২৬ পরিবারকে এবং মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ৫০ পরিবারসহ প্রায় ৬৫০০ পরিবারকে জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।শ্রমহীন কর্মজীবি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা লকডাউনের কারণে কাজ না পেয়ে যখন মানুষ অর্থকষ্টে ও খাদ্যসংকটে দিনাতিপাত করতেছে। লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে হাত পাততে পারছে না তখন আব্দুল জব্বার জলিল টাস্ট্রের মাধ্যমে নিজস্ব পরিবহন দিয়ে সার্বক্ষনিক কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতার পরিচয় গোপন রেখে খাদ্য সহায়তা, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও বাচ্চাদের খাবার বাসায় বাসায় পৌঁছে দিয়ে মানুষকে সাময়ীকভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া প্রতি বছর ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং দুর্গা পুজার সময়ে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে এতিমখানা ছাড়াও আমার নিজ এলাকায় ঈদ ও পূজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নতুন বস্ত্র প্রদান করা হয়।১৯৮২ সাল হইতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর, মোগলাবাজার ও সিলাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তীক অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ-উল-আযহা,ঈদ-উল-ফিতর ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা ও চৈত্র সংক্রান্তীর সময় প্রায় ৪৬,৬০,০০০/=(ছয়চাল্লিশ লক্ষ ষাট হাজার) টাকার নতুন বস্ত্র,খাদ্রসামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।