করোনা সংকটকালে চিকিৎসাকর্মী সহ প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমুহ : 

বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি কভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের করাল ছোবল যখন কাউকেই ছাড় দিচ্ছেনা, সকল দেশের সরকারই লকডাউনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের প্রানান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে, আমরাও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। এরকম পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়ে যায় দেশের নিম্ন, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক, অনগ্রর ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর লোকজন। আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে এই সময়ের উল্লেখেেযাগ্য কিছু কাজের উদাহরণ :

 পারসোনাল প্রটেক্টিভ উপকরণ (পিপিই) :

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রমনের পর করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার ও সেবা কর্মীরা চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছিলো তখন স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিতদের জন্য বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও সংবাদ কর্মীদের মাঝে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে উন্নতমানের ৪৫০ পিছ পারসোনাল প্রটেক্টিভ উপকরণ (পিপিই) প্রদান করা হয়।

 জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান :

বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেটে যখন লকডাউন ঘোষনা করা হয় তখন শ্রমহীন কর্মজীবি অসহায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য নিজস্ব পরিবহন দিয়ে চাল, ডাল,আলু, তৈল, লবন, মিষ্টি কুমড়া, আঠা, ওরাল স্যালাইন, সাবান, খেজুর, সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়ে একটি প্যাকেট করে সিলাম, মোগলাবাজার, জালালপুর ইউনিয়ন, সিলেটের মাননীয় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ১০০ পরিবারকে, সিলেট কতোয়ালী থানার এসি নির্মল বাবুর মাধ্যমে সিলেটের করের পাড়ায় ৮০ পরিবারকে, দক্ষিন সুরমা উপজেলার নর্বিাহী র্কমর্কতার মাধ্যমে দক্ষিণ সুরমা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ১২৬ পরিবারকে এবং মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ৫০ পরিবারসহ প্রায় ৬৫০০ পরিবারকে জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

 কল সেন্টারের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান :
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেটে যখন লকডাউন ঘোষনা করা হয় তখন শ্রমহীন কর্মজীবি মানুষ দিশেহারা তখন সরকারের পাশাপাশী ব্যাক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সহায়তা করতে অনেকে এগিয়ে আসে। তখন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া দিনমজুররা পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সহায়তা পায়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা না পারছিলো কারো কাছে হাত পাততে, না পারছিলো লাইনে দাড়িঁয়ে খাদ্য সংগ্রহ করতে। ঠিক তখনই তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে কল সেন্টারের মাধ্যমে তাদেরকে আমাদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রহিতার পরিচয় গোপন রেখে আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এই কার্যক্রম ২৫ মার্চ ২০২০ হইতে ৩০জুন ২০২০ পর্যন্ত চলে ।

 জরুরী ফ্রী অক্সিজেন সার্ভিস :

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা অপ্রতুল অক্সিজেন সরবরাহের কারনে শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন তখন নির্দিষ্ট হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোন জায়গায়ই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছিলো না, অক্সিজেনে অভাবে যখন রোগীরা অসহায়ের মত মৃত্যু বরণ করছিল তখন কোভিড ও নন-কোভিড শ্বাসকষ্ট রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ অপ্রতুলতার কথা চিন্তা করে, আব্দুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের মাধ্যমে দুই জন অভিজ্ঞ ডাক্তার ও চারজন টেকনিশিয়ান দিয়ে দিবারাত্রী ২৪ ঘন্টা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিজস্ব পরিবহণ দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি অক্সিজেনের প্রয়োজন সিলেট শহর ও আশপাশ এলাকার এমন রোগীদের বাসায় বাসায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় যা এখনও চলমান রয়েছে। 
অসহায় রোগীদের হাসপাতাল বিল, চিকিৎসা কাজে আর্থিক অনুদান সহ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজনের জন্য মোবাইল মেসেজের ভিত্তিতে ঔষধ সরবরাহ প্রক্রিয়া এখনও চলমান। এই সময়ে যারা বেকার হয়ে গিয়েছেন এরকম প্রচুর পরিবারকে সেলাই মেশিন দিয়ে আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়।